প্রকাশিত: Mon, Mar 6, 2023 4:31 PM
আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 3:19 PM

আগুনে সর্বস্ব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে ১২ হাজার রোহিঙ্গা ,তদন্ত শুরু

জিয়াবুল হক: কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ২ হাজার ঘর পুড়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন ১২ হাজার রোহিঙ্গা। তাদের অনেকেই খোলা আকাশের নিচে বাস করছেন।

সোমবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে দেখা যায়, গৃহহীন পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরের পাশে কেউ বসে আছেন। কেউ কেউ ঘর থেকে পুড়ে যাওয়া মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে সন্দেহভাজন আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আগুনে পুড়েছে কলিমা বেগমের সবকিছু। তিনি বলেন, আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে। আমার চোখের সামনে সব কিছু পুড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু করার কিছু ছিল না। সন্তানদের কিছু কাপড় ঘর থেকে বের করতে পেরেছি। সেটি জোর করে নিয়ে গেছে এক যুবক। আমরা সকাল থেকে কিছু খাইনি। এখানে খাবার ও পানির অভাব রয়েছে।

পুড়ে যাওয়া ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিনিয়র সহকারী সচিব) সরওয়ার কামাল বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে ২ হাজারের বেশি ঘর পুড়েছে। যে কয়েকজন নিখোঁজ ছিল তাদের খোঁজ পাওয়া গেছে। গৃহহারাদের প্রাথমিকভাবে পানি ও খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমরা বাঁশ, ত্রিপল দিচ্ছি যাতে দ্রুত নতুন ঘরে ঠাঁই হয় তাদের।

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের স্হায়ী আশ্রয়স্থান করে দেওয়া হবে। অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ কিংবা হতাহতের ঘটনা নেই।

আইওএম-এর কমিউনিকেশন অফিসার তারেক মাহমুদ জানান, সোমবার সকাল থেকে আশ্রয়হীন রোহিঙ্গাদের জন্য পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেছে। এ ছাড়া পাঁচটি মেডিক্যাল টিম রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি জানতে কাজ চলছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে গঠিত সাত সদস্যের কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানান, কমিটিতে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস, এপিবিএন, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা রয়েছেন। সোমবার  সকাল থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব